“হজ্জ্বের আধ্যাত্মিক শিক্ষা”বইটির” ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আ’লা রাসূলিহাল। কারীম। আম্মা বাদ, হজ্জ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে মক্কার প্রান্তরে “আরাফাত” নামক স্থানে অবস্থান করা ও এর আগে ও পরে কাবাঘর তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা, মিনায় অবস্থান করা, মিনার জামারাতগুলিতে কাঁকর নিক্ষেপ করা, হজ্জের কুরবানী বা হাদী জবাই করা, মাথা মুণ্ডন করা, এ সকল কর্মের মধ্যে আলাহর যিকির করা, দোয়া করা ইত্যাদি হলাে হজ্জের কার্যসমূহ। উমরাহ হলাে সংক্ষিপ্ত হজ্জ। বছরের যে কোন সময়ে। নির্ধারিত স্থান থেকে ইহরাম করে মক্কায় যেয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে আলাহর যিকিরের সাথে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করা, সাফা মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করা ও এরপর মাথার চুল কাটা বা ছাঁটা হলাে উমরা। জীবনে একবার উমরাহ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বা ওয়াজিব। এরপর নফল উমরাহ পালন করা যায়। মক্কা মুকাররামাহ পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরজ। কেউ হজ্জের আবশ্যকীয়তা বা ফরয হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা। হবে। আর যদি কোন সক্ষম ব্যক্তি হজ্জ ফরয মানা সত্বেও তা আদায় না করেন তাহলে তিনি কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। হজ্জের আহকামগুলি সুন্দরভাবে জেনে নেবেন। বিশেষ করে সুন্নাত জানার ও মানার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করবেন। আপনাদের অনেকেই হজ্জ করেন নি। হজ্জ করার ইচ্ছাও অনেকের নেই। কারণ হজ্জ কখন কার উপর ফরয হয় তা আমরা অনেকেই ভালভাবে জানি না। নিজের ও পরিবারের প্রয়ােজনীয় খরচ মিটিয়ে মক্কা শরীফে যাওয়ার খরচ বহনের ক্ষমতা হলেই হজ্জ ফরয হয়ে যায়। এমনকি কারাে যদি নিজের প্রয়ােজনের অতিরিক্ত জমি থাকে, যে জমির ফসল না হলেও তার বৎসর চলে যায়, অথবা অতিরিক্ত বাড়ি থাকে যে বাড়ি তা ব্যবহার করতে হয় না, বরং ভাড়া দেওয়া, অথচ যে বাড়ির ভাড়া না হলেও তার বছর চলে যায় তবে সেই জমি বা বাড়ি বিক্রয় করে হজ্জে যাওয়া ফরয হবে বলে অনেক ফকীহ সুস্পষ্টত উলেখ করেছেন। তাহলে | চিন্তা করুন! আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রতি বত্সর প্রয়ােজনের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নতুন জমি কিনছেন, বাড়ি বানাচ্ছেন বা বিনিয়ােগ করছেন, অথচ হজ্জ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আ’লা রাসূলিহাল। কারীম। আম্মা বাদ, হজ্জ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে মক্কার প্রান্তরে “আরাফাত” নামক স্থানে অবস্থান করা ও এর আগে ও পরে কাবাঘর তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা, মিনায় অবস্থান করা, মিনার জামারাতগুলিতে কাঁকর নিক্ষেপ করা, হজ্জের কুরবানী বা হাদী জবাই করা, মাথা মুণ্ডন করা, এ সকল কর্মের মধ্যে আলাহর যিকির করা, দোয়া করা ইত্যাদি হলাে হজ্জের কার্যসমূহ। উমরাহ হলাে সংক্ষিপ্ত হজ্জ। বছরের যে কোন সময়ে। নির্ধারিত স্থান থেকে ইহরাম করে মক্কায় যেয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে আলাহর যিকিরের সাথে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করা, সাফা মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করা ও এরপর মাথার চুল কাটা বা ছাঁটা হলাে উমরা। জীবনে একবার উমরাহ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বা ওয়াজিব। এরপর নফল উমরাহ পালন করা যায়। মক্কা মুকাররামাহ পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরজ। কেউ হজ্জের আবশ্যকীয়তা বা ফরয হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা। হবে। আর যদি কোন সক্ষম ব্যক্তি হজ্জ ফরয মানা সত্বেও তা আদায় না করেন তাহলে তিনি কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। হজ্জের আহকামগুলি সুন্দরভাবে জেনে নেবেন। বিশেষ করে সুন্নাত জানার ও মানার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করবেন। আপনাদের অনেকেই হজ্জ করেন নি। হজ্জ করার ইচ্ছাও অনেকের নেই। কারণ হজ্জ কখন কার উপর ফরয হয় তা আমরা অনেকেই ভালভাবে জানি না। নিজের ও পরিবারের প্রয়ােজনীয় খরচ মিটিয়ে মক্কা শরীফে যাওয়ার খরচ বহনের ক্ষমতা হলেই হজ্জ ফরয হয়ে যায়। এমনকি কারাে যদি নিজের প্রয়ােজনের অতিরিক্ত জমি থাকে, যে জমির ফসল না হলেও তার বৎসর চলে যায়, অথবা অতিরিক্ত বাড়ি থাকে যে বাড়ি তা ব্যবহার করতে হয় না, বরং ভাড়া দেওয়া, অথচ যে বাড়ির ভাড়া না হলেও তার বছর চলে যায় তবে সেই জমি বা বাড়ি বিক্রয় করে হজ্জে যাওয়া ফরয হবে বলে অনেক ফকীহ সুস্পষ্টত উলেখ করেছেন। তাহলে | চিন্তা করুন! আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রতি বত্সর প্রয়ােজনের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নতুন জমি কিনছেন, বাড়ি বানাচ্ছেন বা বিনিয়ােগ করছেন, অথচ হজ্জ
Reviews
There are no reviews yet.