যদিও গ্রন্থের নাম ‘চৌষট্টি পাখুড়ি’। পাখুড়ি মানে পাপড়ি। সেই কবে চর্যার সাধক বলেছিলেন: ‘একটি পদ্ম, চৌষট্টি পাখুড়ি-তাতে নাচে ডোমনি সুন্দরী’—তারই শরণ নিয়েছেন আজকের কবি,
নিজেকে হাজির করেছেন নিজেরেই ধ্যানের ‘চণ্ডী’-দাস ব’লে। কবিতাগুলি একটি বিশেষ আঙ্গিকে লেখা। কবির অভিধায় ‘অষ্টাদশী ফর্ম’। চতুর্দশী অর্থাৎ চতুর্দশপদী কবিতাকে তিনি এখানে প্রত্যাখ্যান করেছেন ‘নাবালিকা ফর্ম’ ব’লে।
চৌষট্টি পাখুড়ির দুটি পর্ব—ঘ্রাণ আর রেণু। কী আছে সেখানে? সেটা পাঠকই আবিষ্কার করবেন। আমরা কেবল একটি সূত্র অনুসন্ধান করতে পারি, তারই কিছু পঙ্ক্তির আশ্রয়ে: কন্যারাশি মেঘ ওহে,
রৌদ্রনীল ক্রিস্টালের আকাশ পেছনে ফেলে রেখে অন্তত একটিবার ধূলিমগ্ন জীবনের দিকে চাও-এক বিন্দু জল তুমি দাও জিভের ডগায়।
Reviews
There are no reviews yet.