“মরীচিকা” বইয়ের ফ্যাপের লেখা:
রাত বারােটা। আজাদের চোখে ঘুম নেই। নানান চিন্তায় মাথাটা ভার হয়ে আছে। পরিবারে সীমাহীন অভাব। বাবার দিকে তাকাতে পারে না সে। বাবার দেহটা একেবারে কঙ্কালসার হয়ে পড়েছে। আগের মতাে ক্ষেতে খামারে কাজ করতে পারেনা। কিছুদিন পর পরই অসুখে পড়েন। আর যখনই অসুখে পড়েন সেই সময়টা হয়ে পড়ে আরাে দুর্বিষহ। তিন বেলা খাবার জোটেনা। তখন ছােটো ছােটো ভাইবােনদের সামনে যেতে ভীষণ। লজ্জাবােধ হয় আজাদের।
অভাবের একটি চিরন্তন বৈশিষ্ট্য হল, সে যখন আসে তখন দলবল বেঁধেই আসে। যেমন ভাতের অভাব, কাপড়ের অভাব, চিকিৎসার অভাব। অভাবগুলাে যেন একে অন্যকে ছেড়ে থাকতে পারে।
মানবজীবন বড়ই অদ্ভুত। আর এই অদ্ভুত জীবন বুঝতে বুঝতে জনম পার হয়ে যায়। মরীচিকার পেছনে ছুটতে ছুটতে জীবনে ক্লান্তি নেমে আসে। আর এই ক্লান্তি নিয়েই পাড়ি দিতে হয় না ফেরার দেশে।
জীবনের এমন নানান সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক টানাপােড়েনকে উপজীব্য করে ‘মরীচিকা উপন্যাসটি রচিত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “মরীচিকা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *