১৯৮১ সালের কথা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিসকো মিত্রা ক্ষমতায় এলেন। মিশর সরকারের কাছে চিঠি গেল। তাদের হাজার বছর আগের ‘ফারাও’ (ফিরআউন) নামক শাসকদের মমিগুলো লাগবে। ফ্রান্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায়। মিশর সেই প্রস্তাবে রাজি হলো। পাঠিয়ে দিলো ফারাওদের মমি-কৃত মৃতদেহ।
এই গবেষণার দলের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন ড. মরিস বুকাইলি নামক একজন গবেষক। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট। কিন্তু গবেষণা করার সময় দেখলেন, ফারাওদের একজনের দেহে লবণের রেমনেন্টস আছে। মূলত তার মৃত্যু হয়েছিল সমুদ্রে ডুবে; এর স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও পেয়ে গেলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, অন্য দেহগুলোর তুলনায় এই দেহটি অধিক সজীব। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। কিন্তু বাঁধ হয়ে দাঁড়ালো খ্রিস্টান সহকর্মীরা। তাদের দাবী, তিনি যদি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন, তাহলে কুরআনের সত্যতা প্রমাণিত হয়ে যাবে। কিন্তু ড. বুকাইলির মন সায় দিল না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে মুসলিম আলিমদের সাথে বসলেন। এরপর জানলেন সূরা ইউনুস (১০)-এর ৯০-৯২ নং আয়াতগুলো।
তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন আয়াতগুলো শুনে! যে ফারাও-এর দেহ নিয়ে এতদিন ধরে রিসার্চ করছেন, তা সংরক্ষণের কথা স্বয়ং আল্লাহই চৌদ্দ শত বছর আগে কুরআনে বলে রেখেছেন। এই ঘটনা ড. বুকাইলির মনে গভীর দাগ কাটল। সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি কুরআন নিয়ে গবেষণা করবেন। পরবর্তী দশটা বছর গবেষণার পর লিখে ফেললেন একটি চমৎকার গ্রন্থ, ‘কুরআন, বাইবেল এবং বিজ্ঞান।’
Reviews
There are no reviews yet.