চাণক্যের কূটকৌশল’ বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ
‘চাণক্যের কূটকৌশল’ গ্রন্থটি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’-এ বিধৃত রাষ্ট্রপরিচালনার নানারৈখিক দিক-নির্দেশনার নিরিখে রচিত হয়েছে। চাণক্য পণ্ডিত খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০ অব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ৮৭ বছর বয়সে খ্রিস্টপূর্ব ২৮৩ অব্দে মৌর্যদের রাজধানী মগধ’-এ মৃত্যু বরণ করেন। দৃঢ়চিত্তের, প্রজ্ঞায় অসাধারণ, দুঃসাহসিক মানসিকতাসম্পন্ন চাণক্য, বিষ্ণুগুপ্ত বা কৌটিল্য-নামীয় এই পণ্ডিত একাধারে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, স্থপতি, সমরবিদ, কূটনীতিক, জ্যোতির্বিদ, বৈদিকশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, গণিতজ্ঞ, ধার্মিক, চিকিৎসক, সমাজবিজ্ঞানী, ঐন্দ্রজালিক এবং দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত ও সমাদৃত। রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর শত্রু-বিরােধীপক্ষকে সমূলে বিনাশের প্রয়ােজনে সম্ভাব্য যেসব নির্মম তরিকা অবলম্বনের জন্য তিনি রাজাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, সে-সবই চাণক্যনীতি নামে বহুলভাবে আমাদের কাছে পরিচিত। রাজা তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে যে কোন হীনপন্থা অবলম্বনকেও তিনি সানন্দে সমর্থন করেছেন। তাঁর এহেন নেতিবাচক পরামর্শ সমালােচকেরা সুচোখে দেখেননি। যে কারণে কুটবিদ্যার গুরুত্ব হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর বিরুদ্ধে এন্তার আপত্তি উত্থাপিত হয়েছে। তাঁর নির্দেশিত পন্থাসমূহ কায়েমী স্বার্থবাদীরা সংকীর্ণস্বার্থে ব্যবহার করে তাঁকে এক বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের সংহতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে তার কাছে যেসব কূটকৌশল অবশ্যকরণীয় বলে প্রতিভাত হয়েছে, তারই তাৎপর্যপূর্ণ কিছু বিষয়ের উপর এ গ্রন্থে আলােকপাত করা হয়েছে। বলাবাহুল্য যুগে যুগে বিভিন্ন শাসক কর্তৃক এ ধরনের কূট-কৌশল বহুলভাবে অনুসৃত হয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে এখনাে অনুসরণ করা হচ্ছে। আড়াই হাজার বছর পূর্বের এ ধরনের চিন্তন আজকের সমাজের জন্য কতটা প্রযােজ্য, সদাশয় পাঠকসমাজ তা বাস্তবতার নিরিখে মিলিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি গ্রন্থটি সদাশয় পাঠককুলের মন জোগাতে সক্ষম হবে।
Reviews
There are no reviews yet.