বড়োবেলায় এসে মাঝে মাঝে অনেকের ছোটোবেলার কিছু ঘটনা শুনে শিউরে উঠি, কেমন একটা গা ঘিন ঘিন অনুভূতি আসে। শুনতে হয় তারা ছোটোবেলায় তাদের একেবারে কাছের মানুষদের দ্বারা কীভাবে শারীরিক, মানসিক, সেক্সুয়াল অ্যাবিউজিং এর শিকার হয়েছেন।

তারা বড়োবেলায় এসে অন্ধকারে গুমোটবাধা এ গল্পগুলো বলতে পারছেন, কিন্তু ছোটোবেলায় পারেন নি। দিনের পর দিন সয়ে গেছেন এ ঘৃণিতে অত্যাচারগুলো। এরকমটা সাম্প্রতিক সময়েও অহরহ হচ্ছে, আমাদের বাচ্চারা প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছে এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। কিন্তু প্রকাশস্থল খুঁজে না পাওয়ায়, বুঝানোর ভাষা না জানায় তারা বয়ে বেড়াচ্ছে এই ভয়াবহ বিষয়গুলো। এ ভয়ানক বিষয়গুলো সম্পর্কে না অভিভাবকেরা সচেতন না আমাদের সন্তানেরা। আমরা আমাদের সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি না গুড টাচ ব্যাড টাচের মতো বিষয়গুলোর সাথে, আমরা নিজেরাও খেয়াল করছি না এ দিকটায়। আবার আমাদের মধ্যে এ বিষয়টি সম্পর্কে যারা জানে তারা কেবল নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে তাদের জ্ঞান, জানাচ্ছে না আশেপাশের মানুষগুলোকে।

কিন্তু এটা খেয়াল রাখতে হবে- আপনি নিজে সচেতন হলে এবং নিজের সন্তানকে প্রশিক্ষণ দিলেই কিন্তু সে নিরাপদ না। সমাজের সবার মধ্যে যখন ‘গুড টাচ ব্যাড টাচ’ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে, ঠিক তখন কেবল আপনার সন্তান নয়, পুরোটা সমাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে।

‘গুড টাচ ব্যাড টাচ’ বইটি লেখিকা তার ছয় বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাবা-মা ও সন্তান উভয়ের জন্য উপযোগী করে লিখেছেন। এটি বাংলাদেশের প্রথম শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক নিরাপত্তার জন্য সচেতনতামূলক বই। বইটিতে একটি শিশুকে কিভাবে সম্পূর্ণ রূপে ভালো এবং খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে সচেতন করা যায় তা খুব সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। একটি শিশু যতো রকম পরিস্থতির মধ্যে দিয়ে তার শৈশব কাটায়, তার অধিকাংশ সময় কী করনীয় তা খুব সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা আছে বইটিতে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “গুড টাচ ব্যাড টাচ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *