‘জীবনে সুখ দুঃখের সঙ্গী হিসেবে চাঁদ তুলনাহীন। যখনি ভেবেছিলাম জোছনার সাগরে নির্ঘুম সুখের স্নান করব। কষ্টগুলোকে হাওয়ায় ভাসিয়ে উড়িয়ে দিব। ঠিক তখনই কোন এক অন্ধকার গলি আমার স্বপ্নগুলোকে গিলে নিল। জোছনা ভরা রাতগুলো তখন আমার কাছে বিষাদের হয়ে গেল। যদিও জোছনা রাত নিঃসঙ্গ দুঃখী মানুষের দুঃখ হালকা করার এক মায়াবী মুহূর্ত। কারো কারো কাছে এ যেন এক জাদুর কাঠি। ছুঁয়ে দিয়ে ভালোবাসার পরশে আগলে নেয়। ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে গেলেও এই চাঁদটা কখনো ছেড়ে যেতে চায় না। পূর্ণিমার রাতে যখন সে আকাশে থাকে তখন সাথে সাথে চলে। এই চাঁদের এমন ভালোবাসার হাতছানি আমাকে টেনে ঘর থেকে বের করে আনত। জোছনা রাতে আমার ঘুম আসত না। বিছানায় যতক্ষণ থাকতাম ততক্ষন ছটফট করতে থাকতাম। পরিশেষে বেরিয়ে পড়তাম ঘর থেকে। আনন্দের রাশি রাশি মালা গেঁথে কল্পনায় চাঁদের গলায় পড়িয়ে দিতাম! এখনো আমি চাঁদের সাথে আর জোছনার সাথে মিতালী করি। রাতের নির্জনতায় সবাই যখন গভীর ঘুমে ডুবে থাকে তখন একাকী রাস্তার ধারে বসে থাকি। আমি চাঁদের দিকে নিস্ফলক তাকিয়ে থাকি। তবে আগের মতো আর আনন্দের মালা গাঁথা হয় না। মাঝে মাঝে আমি হাঁটি। চাঁদও আমার সাথে সাথে হাঁটে।
Language | |
---|---|
Number of Pages | |
Author |
কাজী সুলতানুল আরেফিন |