প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশের আনাচে কানাচে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ‘সিএইচসিপি’ নামক পদধারী সৈনিকেরা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অফিস টাইম হলেও তারা এখন চব্বিশ ঘন্টা জনতার সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। পরামর্শ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পর্যন্ত রাত-বিরাতে এই সিএইচসিপিদের মোবাইল বেজে উঠে। তাদের দুয়ারে ছুটে আসা মানুষের ভিড় দেখলেই সিএইচসিপিদের উপর জনতার আস্থা বুঝা যায়!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ব্রেইন চাইল্ড’ খ্যাত এই ‘সিএইচসিপিরা’ যেন মাথা নোয়াতে জানে না। সেবায় ব্রত হয়ে তারা জীবনের রঙিন স্বপ্নগুলোকেও বিসর্জন দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। দেশের করোনা মহামারীর ক্লান্তিলগ্নে দেশের জনগণকে সেবা দিতে আর সচেতন করতে প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছে অনেক সিএইচসিপি। তারা আজ দক্ষ। দক্ষ থেকেও দক্ষ। সেবার পাশপাশি তাদেরকে সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের জন্য কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। ছুটি নেই, ছুটি নেই, তাদের যেন ছুটি নেই। কাজ থেকে তাদের ছুটি নেই। মানবসেবা থেকে তাদের ছুটি নেই,
এই দেশের বারো রকমের মানুষের তেরো রকমের মন রক্ষা করতে আর সামলিয়ে করতে করতে দিশেহারা সৈনিক এই সিএইচসিপি। একদিন সারা পৃথিবীর সোনালী সূর্যের আলোর মতো দিক থেকে দিগন্তে এই সিএইচসিপিদের জয়গান ছড়িয়ে যাবে।
মানসেবার তরে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার পরেও বঞ্চিতদের নামের ভেতর রয়েছে সিএইচসিপির নাম। বঞ্চিত এই কর্মীদের নিয়েই লেখা ‘সিএইচসিপি: এক কষ্টিপাথর’।