অমিত ধীর পায়ে হাঁটছিল। মোহিনী তার থেকে অন্তত দশ হাত দূরে। সে জানে না, একটি মানুষ লুকিয়ে লুকিয়ে তার পিছু করছে। তবুও মাঝে মাঝে যখন পায়ের শব্দ টের পেয়ে পেছন ফিরে তাকাল, তখন মোহিনী গাছের আড়ালে গা ঢাকা দিলো। তারা যখন মকবুলদের বাড়ির উঠান পেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন মোহিনী কী যেন মনে করে থমকে দাঁড়াল। বাড়ির দক্ষিণ পাশে গোরস্তান। সেখানে মকবুলের বাবার কবর। বউ পারুর কবর। দু’মাসের পুরনো কবরটার দিকে তাকালে এখনও নতুন মনে হয়। ঝোপঝাড়ের মাঝখানে অল্প একটু উঁচু জায়গা। চারপাশে বাঁশের বেড়া। সেখানে শুয়ে আছে পারু। সবাই জানে, পারু স্বাভাবিকভাবেই মরেছে। রাতে ঘুমিয়েছে। সকালে আর জেগে ওঠেনি। শুধু মোহিনী জানে, পারু এমনি এমনি মরেনি। মকবুল তাকে হত্যা করেছে।
Reviews
There are no reviews yet.