“ফাউস্ট”বইটির ১ম ফ্লাপের কিছু কথা:
মহাকবি ভোলফ গাঙ ফন গ্যোতে জার্মান সাহিত্যের প্রধান ও প্রাণপুরুষ। সমগ্র ইউরােপীয় সাহিত্যে একমাত্র শেক্সপীয়র ছাড়া গ্যোতের সঙ্গে তুলনা করা যাবে এমন কোনাে ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেননি। গ্যোতে। ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, বিজ্ঞানী, দক্ষ প্রশাসক, প্রেমিক এবং মঞ্চ-নির্দেশক। অস্কার ওয়াইল্ড বলেছে, দীক যুগের পর অপর কোনাে ব্যক্তিত্ব মানবসভ্যতাকে এককভাবে এতাে ঋণী করতে পারেননি। হাইনরিশ হাইনে গ্যোতে-প্রতিভার মহত্ত্বের কথা বয়ান করতে গিয়ে বলেছিলেন, আকাশের নক্ষত্রকে মনে হয় গ্যোতের চিন্তার ফুল।
দুখণ্ডে সমাপ্ত ফাউস্ট কাব্য মহাকবি গ্যোতের অমর সৃষ্টি। এই কাব্য রচনা করতে গিয়ে কবি পঞ্চাশ বছরেরও অধিক সময় ব্যয় করেছেন। মানুষের জীবনের আশাআকাক্ষা, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ, সংকট-সংশয়। এবং মানব-মনের নানামুখী জিজ্ঞাসা এই নাটকে এতো সুন্দরভাবে স্থান পেয়েছে, গ্রন্থটিকে আধুনিক জিজ্ঞাসাতাড়িত মানুষের একটি জীবনবেদ বললে বিশেষ অত্যুক্তি করা হয় না। ‘বিশ্বসাহিত্য’ শব্দবন্ধটি প্রথম গ্যোতেই উদ্ভাবন করেছিলেন। রচনাকালের সময় থেকে এ পর্যন্ত ফাউস্ট এন্থটি বিশ্বসাহিত্যের অত্যুজ্জ্বল গৌরব-শিখর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। পশ্চিম বাংলার জার্মান কনসাল জেনারেল ড. হানস। পেতর প্রিসকা ওই সংস্করণটির ব্যয়ভার বহন করেন । পশ্চিমবঙ্গীয় সংস্করণে ড. প্রিসকার একটি সংক্ষিপ্ত ভমিকাও সংযােজিত হয়েছিল। কলকাতায় ফাউস্টের প্রকাশনা উপলক্ষে ভারতের । কলকাতাস্থ ম্যাকমুলার ভবনের কলকাতা শাখা একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়ােজন করে। অনুবাদককে ফাউস্ট অনুবাদের দুরূহতার বিষয়ে একটি বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানাে হয়। ওই দিনেই সন্ধেবেলার অনুষ্ঠানে ম্যাকমুলার ভবনের নিজস্ব মিলনায়তনে খ্যাতনামা নট-নটী এবং আবৃত্তিকারদের দিয়ে বাংলা ফাউস্টের বিশেষ বিশেষ অংশ পাঠ করে শােনানাে হয়। পাঠ-অনুষ্ঠানে প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী ও চিত্রপরিচালিকা শ্রীমতী অপর্ণা সেনের সঙ্গে শ্রীমতী সােহাগ সেন, শ্রীতাপস ঠাকুর এবং শ্ৰীঅঞ্জন দত্ত প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন ।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ফাউস্টচ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *