ইউরোপের সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য দীর্ঘ ছক আঁকেন (ইহুদি) আমশেল৷ মৃত্যুর আগে সেই পরিকল্পিত ছক তিনি তার ছেলে-মেয়েদের শিখিয়ে দিয়ে যান৷ আমশেলের সেই ছকটি কী ছিল? হ্যাঁ, ছকটি ছিল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা৷ সুদি লেনদেন চালু করার মাধ্যমে জনমানুষের সহায় সম্পদ লুট করা৷ ইউরোপের পাঁচটি দেশে তিনি তার পাঁচ ছেলেকে ছড়িয়ে দেন৷ জার্মানিতে এন্সলেমকে, অস্ট্রিয়ায় সোলাঈমানকে, ব্রিটিনে নাথানকে, ইটালিতে কার্লকে, ফ্রান্সে জেমসকে চলে যেতে বলেন৷ পরবর্তী সময়ে আমেরিকাকে টার্গেট করে তাদের উত্তরপুরুষ শোনবার্গ৷
পিতার আদেশে ছড়িয়ে পড়ে ছেলেরা৷ নিজেদের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অর্থ হাসিলে মনোযোগ দেয়৷ প্রত্যেকেই নিজ দেশে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে৷ সেই কাল থেকে এই কাল, দীর্ঘ এই সময়ের ব্যাংকের ইতিহাসের অবধারিত অংশ হিসেবে জড়িয়ে আছে এই রথচাইল্ড পরিবারের নাম৷ দুটি উক্তি শুনলে এই পরিবারের শক্তির মাত্রা আঁচ করতে আমাদের সুবিধা হবে :
আমাকে সুযোগ দাও জাতির অর্থে দখল বসাতে৷ এরপর আমার পরোয়া থাকবে না কে নীতি নির্ধারণ করে।
—আমশেল মুসা রথচাইল্ড৷
আমার এ-নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই যে, কোন পুতুলকে ইংল্যান্ডের রাজ সিংহাসনে বসানো হলো। যে ব্রিটেনে সাম্রাজ্য পরিচালনা করবে, যার সূর্য কখনো অস্তমিত হবে না৷ আসলে সম্পদের উৎস যার হাতে, সে-ই মূলত ব্রিটেন সাম্রাজ্য পরিচালনা করে৷ আর ব্রিটেনের সম্পদের উৎস আমার হাতে।
— নাথান রথচাইল্ড৷

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইলুমিনাতি (২)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *